শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২১ পূর্বাহ্ন
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি: শ্রীমঙ্গলের দুই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ভূয়া টিপসই দিয়ে সরকারি ওএমএসএস এর চাল আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার সিন্দুরখান ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড সদস্য মো. মোছাব্বির মিয়া ও ৪নং ওয়ার্ড সদস্য মো. জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে সরকারি এই চাল আত্মসাতের অভিযোগ এনে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন এলাকার ভূক্তভোগীরা।
মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শ্রীমঙ্গল প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে সাংবাদিক সম্মেলনে দুই ভুক্তভোগী শাহজাহান মিয়া ও আরজু মিয়া সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, ওএমএসএস এর আওতাধীন শ্রীমঙ্গল খাদ্য গুদামের তালিকাভুক্ত চাল গ্রাহক হিসেবে ২০১৬ সালে প্রথমবার চাল উত্তোলন করার কয়েক মাস পর ২য় বার চাল সংগ্রহ করতে গেলে ডিলার পরিচয়ধারী ৪নং ওয়ার্ড সদস্য জাহিদুল ইসলাম চাল না দিয়ে কার্ডটি উপজেলা অফিস হতে বাতিল হয়েছে জানিয়ে ফিরিয়ে দেয়।এ ব্যাপারে আমরা ২নং ওয়ার্ড সদস্য মোছাব্বির মিয়াকে জানালে তিনি আমাদের নাম বাতিল হওয়ার কথা বলে উপজেলা অফিসে খবর নিতে বলেন। তার কথা মতো উপজেলা অফিসে যোগাযোগ করে জানতে পারি ২০১৬ সাল থেকে আমাদের নামে ভূয়া টিপসই দিয়ে চাল উত্তোলন করা হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় হতদরিদ্রদের জন্য ১০ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে সরকারি চাল বিতরণের নিমিত্তে সিন্দুরখান ইউপির ৬১৫ জন হতদরিদ্রের মাঝে কার্ড করা বিতরণ করা হয়।
এই কর্মসূচির আওতায় আমরা উপকারভোগী নির্বাচিত হলেও স্থানীয় ২নং ওয়ার্ড সদস্য মোছাব্বির মিয়া দীর্ঘ ৫ বছর যাবৎ অনেকের প্রাপ্য চাল আত্মসাৎ করে আসছেন। এছাড়া খাদ্য অধিদপ্তর থেকে নিয়োগকৃত ২জন ডিলার নিয়োগ করা হলেও মেম্বার মোছাব্বির ও জাহিদুল যোগসাজসে এই ডিলার নিয়ন্ত্রন করে আসছে।
এনিয়ে গত ২ জুন, ২৪ জুন ও সর্বশেষ ১৪ সেপ্টেম্বর পৃথক ভাবে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেও কোন সুরাহা পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শ্রীমঙ্গল নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি তদন্ত হয়- তার প্রতিবেদনও হাতে এসেছে। তবে এখুনি এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না’।